ঢাকা, ৩০ জুলাই - ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাবটি বাতিল করে দিয়েছে সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি। এর আগে একই অনিয়মের কারণে প্রকল্প প্রস্তাবটি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) কাছে পাঠিয়েছিল কমিটি। আইএমইডি প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগে নানা দুর্নীতির প্রমাণ পায়। সে প্রস্তাবটি আবার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটিতে পাঠানো হয়। এজন্য বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে ভৎসনাও করেছে কমিটি। আরও পড়ুন: বিদেশগামী সব দেশের জন্য করোনা সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক নয় ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বৈঠকের সকল সদস্যই প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করেছে। শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটি নাকচ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মন্ত্রীসভা কমিটি এবং আইএমইডি প্রস্তাবটিতে যেসব অনিয়ম পেয়েছে সেগুলো হচ্ছে- ঠিকাদারের যথাযথ অভিজ্ঞতা না থাকা, বিভিন্ন কাগজপত্রের ইংরেজি অনুবাদ নোটারি না করার কারণে চীনা ভাষা থেকে ইংরেজি অনুবাদের অর্থ বোধগম্য না হওয়া, বিশ্বব্যাংক কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানকে এ কাজের জন্য মনোনীত করা ইত্যাদি। এছাড়া আইএমইডি প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রস্তাব মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যেসব অনিয়ম দেখতে পেয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- প্রস্তাব মূল্যায়নের ক্ষেত্রে পোস্ট কোয়ালিফিকেশন সম্পাদন না করা, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও কারিগরি দলিলপত্র যাচাই না করা, পিপিআর অনুযায়ী কোম্পানির বার্ষিক টার্নওভার যাচাই না করা প্রভৃতি। মন্ত্রীসভা কমিটি বলেছে, পিপিআর এর যে কোন ধারা লঙ্ঘন ফৌজদারি অপরাধ। উল্লেখ্য, বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ফুট। এটিকে মহেশখালি চ্যানেলের দিকে আরো ১৭শ ফুট সম্প্রসারণ করার জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। ১৯শ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সূত্র : ইত্তেফাক এন এইচ, ৩০ জুলাই

from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2XbFNf6
কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে প্রকল্প ক্রয়সংক্রান্ত প্রস্তাবটি বাতিল