কক্সবাজার, ১১ আগস্ট - অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাদের আরেক সঙ্গী শিপ্রা রাণী দেবনাথকে নিয়ে বিভ্রান্তি অবসানে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। সোমবার (১০ আগস্ট) রাতে হঠাৎ একটি আবাসিক হোটেলে গণমাধ্যমকর্মীদের ডেকে কথা বলেন এ দুই শিক্ষার্থী। সংবাদ সম্মেলনে সিফাত বলেন, মেজর সিনহা হত্যার সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করছে সারাদেশ। কারাগার থেকে বেরিয়ে সেই বিষয়টি অনুধাবন করলাম। তবে কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এতদিন জেলে ছিলাম তাই কিছুই জানতে পারিনি। এখন জেল থেকে বের হয়ে দেখছি প্রায় সব মিডিয়া আমাদের জন্য লিখেছে। আমরা কৃতজ্ঞ। সব সত্যি আমরা তুলে ধরব। সিফাত বলেন, কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে বের হওয়ার পর একটি নম্বরবিহীন গাড়িতে করে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে যে গুঞ্জন গণমাধ্যমে ছড়িয়েছে সেটি ঠিক নয়। ওই গাড়িটি আমাদের পারিবারিক গাড়ি ছিল। তার বিরুদ্ধে করা মামলায় ন্যায়বিচার পাবেন বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি। সুস্থ ও নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন জামিনে মুক্তি পাওয়া সাহেদুল ইসলাস সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ। শিপ্রা বলেন, প্লিজ, প্রে ফর আস। সিফাত ও আমি আপনাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। আপনারা আমাদের পাশে ছিলেন, পাশে থাকবেন। আপাতত এতটুকুই বলার আছে। আমরা প্রত্যেকটা কথা বলব। সিফাত সাংবাদিকদের বলেন, অনেক গণমাধ্যমে আমার পায়ে গুলি লেগেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এটা সঠিক নয়। মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। আমার পায়ে গুলি লাগেনি। আশা করি সুষ্ঠু তদন্ত হবে। আমরা রাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞ। শিপ্রা ও সিফাত তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রয়েছেন। সোমবার দুপুরে সিফাত এবং রোববার শিপ্রা কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গত ৩১ জুলাই রাতে সিনহা নিহতের ঘটনার পর পুলিশের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কক্সবাজার কারাগারে ছিলেন বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ। আরও পড়ুন: ইয়াবার বাণিজ্য নিয়ে ডকুমেন্টারি করাটাই কাল হলো সিনহার! নিহত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সঙ্গে কক্সবাজারে প্রামাণ্যচিত্র তৈরির কাজ করছিলেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির তিন শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাহসিন রিফাত নূর। পুলিশ সাহেদুল ইসলাম সিফাতের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মাদক দ্রব্য ও হত্যা মামলা এবং কক্সবাজারের রামু থানায় শিপ্রার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা করে। এছাড়া তাহসিন রিফাত নূরকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মামলার শুনানিতে র্যাবের পক্ষ থেকে প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত লিয়াকত, প্রদীপ ও নন্দ দুলাল রক্ষিতের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি চারজনকে দুই দিন কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। চারজনকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে তদন্ত সংস্থা। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১১ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PHy2tc
অবশেষে সিফাত-শিপ্রা বিভ্রান্তি দূর করলেন
0 Comments
Post a Comment