ঢাকা, ১৩ আগস্ট- দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে দুদক কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। বুধবারের মতো আজও সকাল ১০টার আগেই দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হন ডা. আজাদ। প্রথম দিন দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার পর বেলা সোয়া ৩টার দিকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন কঠোর পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান, সৎ, দক্ষ, সফল এবং মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবেই সারা জীবন কাজ করেছি। আমি একজন অহংকার এবং অহমিকামুক্ত, সরল এবং সজ্জন ব্যক্তি। ডা. আজাদ বলেন, আমি লক্ষ্য করছিলাম, আমাকে নিয়ে অপপ্রচারের অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। পদ আঁকড়ে রাখা আমার কাছে সম্মানের বিষয় নয়। তাই বিবেকতাড়িত হয়ে গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করি। আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৩২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাপান তিনি বলেন, সিএমএসডি কর্তৃক কভিড সংশ্লিষ্ট ক্রয় সম্পর্কে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে এ বিষয়ে আমি কী জানি, তা শোনার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাগণ আজ আমাকে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আমি যা জানি তা তাদের বিস্তারিত বলেছি। তদন্তাধীন বিষয় সম্পর্কে এ মুহূর্তে আমার পক্ষে এর চেয়ে বেশি কিছু আপনাদের বলা সম্ভব নয়। চিকিৎসক, সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক বলেন, এ কথা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, কেউ অপরাধ করলে তার কঠোর শাস্তি হোক এটা আমি চাই, এ বিষয়ে তদন্তে আমি প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদান করব। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল এদিন তাকে সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদে ছিলেন ডা. আজাদ। সরকারি চাকরির বয়স শেষ হওয়ার পরও তাকে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে ওই পদে রেখেছিল সরকার। সে অনুযায়ী তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের এপ্রিলে। মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একের পর এক কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ হওয়ার পর পদত্যাগ করেন আবুল কালাম আজাদ। সূত্র : দেশ রূপান্তর এম এন / ১৩ আগস্ট

from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3fQnBxV
দ্বিতীয় দিনের মতো দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি